আমাদের শাহ্ গ্রুপ
প্রতিষ্ঠাতা শাহ্ জে. চৌধুরী শাহ গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন আজ থেকে ১৬ বছর আগে, ভারতে। ২২ এপ্রিল ২০০৪ সালে। শাহ্ গ্রুপ কাজ শুরু করেছিল পর্যটন শিল্প মাধ্যম দিয়ে। খুব ছোট পরিসরে কাজ পর্যটন শিল্প নিয়ে কাজ করতে শুরু করল শাহ্ গ্রুপ। প্রতিষ্ঠার কিছুদিন পর কাজের পরিসর বাড়াতে চেয়ে আগ্রহের জায়গা গণমাধ্যম নিয়ে কাজ শুরু করলেন শাহ্ জে. চৌধুরী। প্রতিষ্ঠা করা হলো ইংরেজি ভাষার পত্রিকা ‘হিন্দুস্তান সুরখিয়া।
‘এন্টারটেইনমেন্ট’ শব্দটির বাংলা প্রতিশব্দ জানতে কেউ চাইলে আমরা একটুও না ভেবে ‘বিনোদন’ শব্দটি বলে দিই। আমরা অবশ্যই ভুল বলি না। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বাংলা বিনোদন শব্দটির চাইতে ইংরেজি ‘এন্টারটেইনমেন্ট’ শব্দটির অর্থ আরেকটু ব্যাপক। এন্টারটেইনমেন্ট মানে শুধুই আনন্দ দান নয়, গ্র্যাফিটিকেশন বা পরিতৃপ্তিও বটে। মানে হলো, যেমন ধরুন কেউ আপনাকে বিনোদিত করার নামে এমন সব উপাদান আপনার সামনে পরিবেশন করল যার গুণগত মান এতই নীচু স্তরের যে, উপভোগের বদলে আপনার বিরক্তির উদ্রেক করল। এটিকে ‘এন্টারটেইনমেন্ট’ বা বিনোদন হিসেবে আখ্যায়িত করতে প্রস্তুত নয় ‘রূপসী বাংলা।
তাহলে দেখা যাচ্ছে এখানে ‘উপভোগ্য’ বিষয়টা এখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ। এবং এই উপভোগটাই রূপসী বাংলা এন্টারটেইনমেন্ট নেটওয়ার্কের দায়বদ্ধতা। এই দায়বদ্ধতা থেকেই আমেরিকায় বাংলাদেশি অভিবাসীদের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষদের কাছেও বাংলার রূপ, রস, গন্ধ, সৌন্দর্য, সংস্কৃতি, স্বাদ, এবং রঙ পৌঁছে দেয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৬ সালে সম্পাদক শাহ জে. চৌধুরী গড়লেন ‘রূপসী বাংলা’ পত্রিকাটি।
থার্ড আই প্রোডাকশন রূপসী বাংলা পত্রিকাটিতে এক ধাপ এগিয়ে নিল। শাহ্ জে চৌধুরীর থার্ড আই প্রোডাকশন মূলত ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজ করে আসছিল। আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজনের পাশাপাশি ম্যারেজ প্ল্যানিংয়ের কাজগুলো করত থার্ড আই প্রোডাকশন। ফলে রূপসী বাংলার অন্যতম পরিপূরক সহযোগী হয়ে উঠল থার্ড আই প্রোডাকশন।
গণমাধ্যম হিসেবে পত্রিকা তার জায়গা নিয়ে আছে বটে, কিন্তু খুবই সন্তর্পণে অজান্তেই সে জায়গাতে ভাগ বসিয়েছে ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম। হ্যাঁ, আমরা টেলিভিশনের কথা বলছি। অনেকে বলেন, বদলে গেছে অনেক কিছু। বদলেছে পৃথিবী, বদলেছে সময়, বদলে গেছে মানুষ। প্রযুক্তির ভাষায় আমরা যাকে আপগ্রেড বলি, ঠিক তাই। টেলিভিশনের বয়স এখন প্রায় শতবর্ষ। বলা যেতে পারে পত্রিকার আবেদন ভিন্ন আমেজের হলেও এর আধুনিকতম রূপ হিসেবে টেলিভিশনকে আখ্যা দেয়া যায়।
টেলিভিশন নামের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সংযোজনের ছোট্ট এই যন্ত্রটি। যন্ত্রটি একলাই ধারণ করে চলেছে সভ্যতার শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত মানুষ আর তার কাঙ্ক্ষিত কল্পনা। কিন্তু এ কল্পনা একলা হলে চলবে না। এর সঙ্গে চাই বাস্তবতা। চাই সত্য। চাই সুন্দর। চাই সংস্কৃতি, অর্থনীতি, রাজনীতি। আর চাই বিনোদন। আর সংবাদ তো বলাই বাহুল্য! আর ভাবুন তো, কি আনন্দ, কি শিক্ষা, কি জ্ঞান, উপদেশ, সতর্কবাণী- টেলিভিশন নামের এ ছোট্ট যন্ত্রটি কি অসম্ভবভাবেই না এর সকলই পূরণ করে চলেছে!
এই পূরণে অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠিত হলো টেলিভিশন চ্যানেল ‘বাংলা চ্যনেল।’ রূপসী বাংলার আদর্শ নিয়েই।
কিন্তু ‘শব্দ’র একটা আলাদা জগত আছে। তড়িৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ ব্যবহার করে ঊনবিংশ শতাব্দির শেষপ্রান্তে যখন বেতার আবিষ্কার হলো, তখন থেকে মানুষের মধ্যে এই ‘শব্দ’ আলাদা একটা জায়গায় করে নিলো। তখন শব্দই হয়ে উঠল বিনোদনের প্রধান মাধ্যম। তবে প্রধানের জায়গাটি থেকে সরে এলেও আপন অবস্থানটি নিয়ে বেতার এখনও অটুট আছে। আর এই মাধ্যমকেও ছুঁয়েছে প্রযুক্তি। হয়েছে ডিজিটাল। এসেছে এফএম রেডিও। শাহ্ গ্রুপের তত্ত্বাবধানে রূপসী বাংলা এন্টারটেইনমেন্টও তাই নিয়ে এল ‘রেডিও বাংলা।’
পাশাপাশি প্রকাশনা শিল্পে পৃষ্ঠপোষকতা আর অবদান রাখতে শাহ্ গ্রুপের কর্ণধার শাহ্ জে. চৌধুরী গড়ে তুললেন অনুস্বর পাবলিকেশন্স। এখান থেকেই প্রকাশিত হতে থাকবে সাহিত্য থেকে রাজনীতি বিষয়ক সকল ধরণের গ্রন্থ। প্রকাশিত হবে ছাপা কাগজ, পত্রিকা।
ইউনিসেফ জানাচ্ছে, বাংলাদেশের প্রায় ১৮ কোটি জনসংখ্যার ৪৫ ভাগই শিশু। আর এদের ৩ কোটিরও বেশী শিশু দারিদ্র সীমার নীচে বাস করছে। অথচ শিশুরাই একটি দেশের ভবিষ্যৎ। শিশুরাই দেশের ভবিষ্যৎ চালিকা শক্তি।
দায়বদ্ধতা বড় যন্ত্রণাদায়ক। দায়বদ্ধতা থেকেই স্ট্রিট চিলড্রেন ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠানের ভাবনাটির নিয়ামক। পথশিশুদের শক্ত পায়ে দাঁড়াতে প্রতিষ্ঠিত হলো স্ট্রিট চিলড্রেন ফাউন্ডেশন। প্রতিষ্ঠানটির নামই জানিয়ে দিচ্ছে এর কর্ম পরিধির খবর। অলাভজনক এ প্রতিষ্ঠানটি দারিদ্রসীমার নীচে থাকা ৩ কোটি শিশুদের নিয়ে কাজ করার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছে।
গণমাধ্যম হিসেবে পত্রিকা তার জায়গা নিয়ে আছে বটে, কিন্তু খুবই সন্তর্পণে অজান্তেই সে জায়গাতে ভাগ বসিয়েছে ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম। হ্যাঁ, আমরা টেলিভিশনের কথা বলছি। অনেকে বলেন, বদলে গেছে অনেক কিছু। বদলেছে পৃথিবী, বদলেছে সময়, বদলে গেছে মানুষ। প্রযুক্তির ভাষায় আমরা যাকে আপগ্রেড বলি, ঠিক তাই। টেলিভিশনের বয়স এখন প্রায় শতবর্ষ। বলা যেতে পারে পত্রিকার আবেদন ভিন্ন আমেজের হলেও এর আধুনিকতম রূপ হিসেবে টেলিভিশনকে আখ্যা দেয়া যায়।
টেলিভিশন নামের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সংযোজনের ছোট্ট এই যন্ত্রটি। যন্ত্রটি একলাই ধারণ করে চলেছে সভ্যতার শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত মানুষ আর তার কাঙ্ক্ষিত কল্পনা। কিন্তু এ কল্পনা একলা হলে চলবে না। এর সঙ্গে চাই বাস্তবতা। চাই সত্য। চাই সুন্দর। চাই সংস্কৃতি, অর্থনীতি, রাজনীতি। আর চাই বিনোদন। আর সংবাদ তো বলাই বাহুল্য! আর ভাবুন তো, কি আনন্দ, কি শিক্ষা, কি জ্ঞান, উপদেশ, সতর্কবাণী- টেলিভিশন নামের এ ছোট্ট যন্ত্রটি কি অসম্ভবভাবেই না এর সকলই পূরণ করে চলেছে!
এই পূরণে অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠিত হলো টেলিভিশন চ্যানেল ‘বাংলা চ্যনেল।’ রূপসী বাংলার আদর্শ নিয়েই।
কিন্তু ‘শব্দ’র একটা আলাদা জগত আছে। তড়িৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ ব্যবহার করে ঊনবিংশ শতাব্দির শেষপ্রান্তে যখন বেতার আবিষ্কার হলো, তখন থেকে মানুষের মধ্যে এই ‘শব্দ’ আলাদা একটা জায়গায় করে নিলো। তখন শব্দই হয়ে উঠল বিনোদনের প্রধান মাধ্যম। তবে প্রধানের জায়গাটি থেকে সরে এলেও আপন অবস্থানটি নিয়ে বেতার এখনও অটুট আছে। আর এই মাধ্যমকেও ছুঁয়েছে প্রযুক্তি। হয়েছে ডিজিটাল। এসেছে এফএম রেডিও। শাহ্ গ্রুপের তত্ত্বাবধানে রূপসী বাংলা এন্টারটেইনমেন্টও তাই নিয়ে এল ‘রেডিও বাংলা।’
পাশাপাশি প্রকাশনা শিল্পে পৃষ্ঠপোষকতা আর অবদান রাখতে শাহ্ গ্রুপের কর্ণধার শাহ্ জে. চৌধুরী গড়ে তুললেন অনুস্বর পাবলিকেশন্স। এখান থেকেই প্রকাশিত হতে থাকবে সাহিত্য থেকে রাজনীতি বিষয়ক সকল ধরণের গ্রন্থ। প্রকাশিত হবে ছাপা কাগজ, পত্রিকা।
ইউনিসেফ জানাচ্ছে, বাংলাদেশের প্রায় ১৮ কোটি জনসংখ্যার ৪৫ ভাগই শিশু। আর এদের ৩ কোটিরও বেশী শিশু দারিদ্র সীমার নীচে বাস করছে। অথচ শিশুরাই একটি দেশের ভবিষ্যৎ। শিশুরাই দেশের ভবিষ্যৎ চালিকা শক্তি।
দায়বদ্ধতা বড় যন্ত্রণাদায়ক। দায়বদ্ধতা থেকেই স্ট্রিট চিলড্রেন ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠানের ভাবনাটির নিয়ামক। পথশিশুদের শক্ত পায়ে দাঁড়াতে প্রতিষ্ঠিত হলো স্ট্রিট চিলড্রেন ফাউন্ডেশন। প্রতিষ্ঠানটির নামই জানিয়ে দিচ্ছে এর কর্ম পরিধির খবর। অলাভজনক এ প্রতিষ্ঠানটি দারিদ্রসীমার নীচে থাকা ৩ কোটি শিশুদের নিয়ে কাজ করার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছে।
২২ এপ্রিল ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত শাহ্ ফাউন্ডেশন একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ও দাতব্য সংস্থা। শাহ্ ফাউন্ডেশনের কাজের পরিধি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ আর ভারত জুড়ে। ইতোমধ্যেই শাহ্ ফাউন্ডেশন দেশগুলোর দুঃস্থ মানুষদের সহায়তায় অসংখ্য দাতব্য কার্যক্রমে ভূমিকা রেখেছে। এই প্রক্রিয়া অব্যাহতভাবেই সক্রিয় রয়েছে।
শাহ্ গ্রুপের সাম্প্রতিকতম সংযোজন ‘হোপ অ্যান্ড ড্রিমস্’। এটি মূলত নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি। প্রবাসে আবাসন সমস্যা প্রধানতম সমস্যাগুলোর অন্যতম। সমস্যার এই দিকটিকে মাথায় রেখেই শাহ্ গ্রুপের এই সংযোজন। ‘হোপ অ্যান্ড ড্রিমস্’ নিউ ইয়র্ক শহরে অ্যাপার্ট্মেন্ট, বাড়ি, জমি ক্রয় বিক্রয় শুধু নয়, ভাড়া দেয়া থেকে শুরু করে লাভজনক শর্তে অর্থ বিনিয়োগের ব্যবস্থাও করে থাকে।
এই করোনাকালে দোকানপাট, মার্কেট, শপিং মল সকল কিছু বন্ধ হয়ে গেল। সবকিছুতে লকডাউন হয়ে গেল। কেননা মানুষের জীবনের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছু নেই। মানুষকে আগে বেঁচে থাকতে হবে। আর বেঁচে থাকতে গেলে মানুষের অনেক কিছুই প্রয়োজন। একারণেই অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান মৌলিক অধিকার।
করোনার দুর্বিষহ সময়টিতে শাহ্ গ্রুপ চালু করল ‘শপ অনলাইন।’ আপাতত ‘শপ অনলাইন’ দ্বিতীয় মৌলিক অধিকার- বস্ত্রর চাহিদা পূরণ করছে। সে বস্ত্র কেবল আমেরিকার নয়, স্বদেশী। তবে খুব তাড়াতাড়ি নিত্য দরকারি পণ্য সরবরাহের পরিকল্পনাও রয়েছে শপ অনলাইনের।
আর আছে দেশীয় স্বাদ আর ঘরোয়া খাবারের মান ও পরিবেশের নিশ্চয়তা নিয়ে রেস্টুরেন্ট ‘টেস্ট অব হোম।’ করোনাকালের বদ্ধঘর পরিবেশ মাথায় রেখে একইসঙ্গে বাড়ি বয়ে খাবার পৌঁছে দিতেও প্রতিশ্রিতিবদ্ধ।
তবে একের পর এক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুললেই তো হবে না, যদি না তার বলিষ্ঠ অর্থনৈতিক ভিত্তি না থাকে। এই যে এত এত লক্ষ্য ও পরিকল্পনা, তার বাস্তবায়নে প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা, তার লোকবল নিয়ে কি করে এগুবে যদি অর্থনৈতিক জোগান নিরবিচ্ছিন্ন আর দৃঢ় না থাকে? অবধারিতভাবেই গৃহীত পদক্ষেপ বাধাগ্রস্ত হবে। এই বাধাগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনাকে প্রতিহত করতেই গড়ে উঠেছে শাহ্ গ্রুপ।